সংবাদদাতা: প্রশাসনের অভিযানে ক্ষোভ প্রকাশ করে পাবনায় খুচরা ও পাইকারি ওষুধ ব্যবসায়িরা দোকান বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের সব ওষুধের দোকান বন্ধ রেখে ব্যবসায়িরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে তারা পথসভা করেন এবং স্মারকলিপি দেন।
ব্যবসায়িরা অভিযোগ করেন, ওষুধ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ নিয়মিত অভিযান চালিয়ে জরিমানা করছে এবং বাজার থেকে হারবাল ও ইউনানি ওষুধ তুলে নিচ্ছে। তাদের দাবি—ওষুধে ড্রাগ লাইসেন্স নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রশাসনের। চিকিৎসক যখন এসব ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখছেন, তখন ব্যবসায়িদের দোষারোপ করা অন্যায়। তারা বলেন, “চিকিৎসক ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে খুচরা ব্যবসায়িদের হয়রানি করা হচ্ছে।”
পথসভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি (বিসিডিএস) পাবনা জেলা শাখার সভাপতি এফ এম হুমায়ূন কবির খোকন, সহসভাপতি সাইদুর রশিদ খান পিন্টু, সহসভাপতি তারেক ইবনে আনছার ও সদস্য সাইফুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ। তারা দায়িত্বরত ড্রাগ সুপারের পদত্যাগ দাবি করেন।
ব্যবসায়িরা হুঁশিয়ারি দেন—সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে তারা জেলার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেবেন।
পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ব্যবসায়িদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলে প্রথম দিনের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
এদিকে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ কিনতে এসে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। ওষুধ কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, “এটা এমন জিনিস নয় যেটা কাল কিনলেও চলে। ওষুধের অভাবে যেন কোনো প্রাণহানি না ঘটে, সে জন্য প্রশাসন দ্রুত সমাধান দেবে—এটাই আমাদের আশা।”