ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিবি দাখিল মাদ্রাসায় নড়বড়ে টিনের ঘরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। যে কোনো সময় ঘরটি ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরে জরীজীর্ণ ঘরে ঝুঁকি নিয়ে মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান চললেও যেন দেখার কেউই নেই।
জানা গেছে, বেতুয়ান ও বৃলাহিড়ী গ্রামের বাসিন্দাদের প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে বিবি দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হওয়ার দুই বছর পর তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর শ্রেণি কক্ষ সংকট কাটাতে এলাকাবাসির সহযোগিতায় একটি টিনের ঘর তৈরি করা হয়। তারপরেও শ্রেণি কক্ষ সংকট থেকেই যায়। তাই এলাকাবাসির সহযোগিতায় এবার নির্মাণ করা হয় তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনসেড ভবন।
১৭ জন শিক্ষক ও ৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫০ জন।
বর্তমানে জরাজীর্ণ ওই টিনের ঘরটি পাঠদানের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বাতাসে ঘরটি নড়েচড়ে ওঠে। বৃষ্টি হলে ঘরের চালার ফুটো দিয়ে পানি পড়ে শিক্ষার্থীদের বই-খাতা সব ভিজে যায়। বিগত বছরগুলোতে অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন না হওয়ায় ভাঙা ঘরে ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস করতে হচ্ছে মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখার শিশু শিক্ষার্থীদের।
এছাড়া মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে নেই কোনও সীমানা প্রাচীর। ফলে মাদ্রাসা মাঠটি গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় মানুষজনও মাঠটি ব্যবহার করছে তাদের নানা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবাইয়া জানায়, ‘ভাঙা ঘরে ক্লাস করতে আমাদের ভয় লাগে। সামান্য বাতাসে ঘরটা নড়েচড়ে ওঠে। মনে হয় মাথার ওপর ঘর ভেঙে পড়বে।’
শিক্ষার্থী মেরাজ আলী বলে, ‘আমাদের ক্লাস রুমে বসে টিনের ছিদ্র দিয়ে আকাশ দেখা যায়। আর বৃষ্টি হলে পানিতে বই-খাতা সব ভিজে যায়।’
মাদরাসা সুপার মো. শামসুল আলম জানান,’টিনের ঘরটি পাঠদানের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শিশু শিক্ষার্থীরা ভাঙা ঘরে ক্লাস করতে ভয় পায়। তিনি ঘরটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোছা. নাজমুন নাহার বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। আপনার মাধ্যমেই জানতে পারলাম। খুব দ্রুতই ঘরটি সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।’