সংবাদদাতা: পাবনা জেলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আড্ডায় নস্টালজিয়া যেন মিলেছিল ভবিষ্যৎ ভাবনার সঙ্গে। এলামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘টিফিন ব্রেক উন্মুক্ত আড্ডা’ শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হয় স্কুলের শিক্ষক মিলনায়তনে। ১৯৮০ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাচের প্রায় তিন শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী মিলিত হন এই আড্ডায়।
অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই ছিল ব্যাচভিত্তিক বক্তব্যের উন্মুক্ত সুযোগ। আড্ডায় ভবিষ্যতে সংগঠনের কার্যক্রম নিয়মিত ও টেকসই রাখার বিষয়ে গুরুত্ব দেন বক্তারা। পাশাপাশি আলোচনায় উঠে আসে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব—স্কুলে ভর্তির লটারি পদ্ধতি বাতিল, প্রাক্তনদের প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, প্রতিটি ব্যাচ থেকে প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি গঠন, পাবনায় স্থায়ী কার্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং সংগঠনের শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত প্রশ্ন ও প্রস্তাবের জবাব দেন এসোসিয়েশনের ১৯৮৯ ব্যাচের সদস্য শহিদুল্লাহ কায়ছার শাহিন। এরপর স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আখতার উজ জামান এলামনাই এসোসিয়েশনের কার্যক্রমের প্রশংসা করে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনীতে আহ্বায়ক ও ১৯৮৫ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র মোহাম্মদ হাবীব রশিদ এটম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন ২০২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী জামিউল হাসান সোহান।
স্কুল জীবনের স্মৃতিকে ঘিরে রাখা আড্ডায় ছিল পুরোনো টিফিনের আয়োজনও। চমচম, সিঙ্গারা আর কেকের ঘ্রাণে অনেকেই ফিরে যায় শৈশবের দিনগুলোতে। অনেকেই হয়ে পড়েন আবেগপ্লুত ও নস্টালজিক। হাসি-আড্ডা, স্মৃতিচারণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করেন—এ ধরনের আয়োজনে বিভিন্ন ব্যাচের সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে এবং এসোসিয়েশনের ভূমিকা হবে আরও শক্তিশালী ও প্রভাববিস্তারকারী।